বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি


বর্তমান জগতে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা। এখন ঘরে বসেই অনেক মেয়েরা বা ছেলেরা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করে জীবনধারণ করে।

বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিং-এর-সব-থেকে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর-কোনটি

কিন্তু অনেকেরই মনে একটি প্রশ্ন থাকে যে, বর্তমান জগতে ফ্রিল্যান্সিং এর সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে কোন কাজগুলো বর্তমানে বেশি চাহিদা সম্পন্ন। তাহলে চলুন জেনে নিই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ?

পেজ সূচিপত্রঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটিঃ

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি বহুল জনপ্রিয় পেশা। ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা যেখানে নারী-পুরুষ উভয়ই স্বাধীনভাবে কাজ করে আয় করতে পারে। এই ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে।তাই প্রায় অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে যে, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর এই সেক্টর গুলোর মধ্যে কোনটি ডিমান্ডেবল সেক্টর।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। কারণ এই কাজটি করতে হলে কোন কোডিং এর প্রয়োজন হয় না। সাধারণত প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকলেই এ কাজটি করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং ইউটিউব ভিডিও দেখে, অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে বা অফলাইন কোর্সের মাধ্যমেও খুব সহজে শেখা যায়।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে থেকে বিদেশি ক্লায়েন্টদের পাওয়া যায় কিভাবে

বর্তমান যুগ অনলাইনে যুগ এই যুগে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বা বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষকে দেখানো হয় আর এ কাজগুলো করে ডিজিটাল মার্কেটাররা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যেও অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো হলো ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব প্রমোশন, আর্টিকেল রাইটিং, এসইও, গুগল এডসেন্স এবং ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি। আপনি যদি এই কাজগুলো দক্ষতার সাথে করতে পারেন তাহলে আপনিও হবেন একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন ডিমান্ডেবল সেক্টরঃ

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শিখার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এখন ছোট বড় সব ধরনেরই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সকল পণ্য বা সেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দিয়ে থাকে মানুষকে দেখানোর জন্য। কারণ প্রতিদিন অনেক লোক অনলাইনে আসে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিতরে আপনি অনেক ভাবেই ইনকাম করতে পারবেন সেগুলো হলো ইউটিউব এর মাধ্যমে ফেসবুকের মাধ্যমে ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে ইমেইলের মাধ্যমে এসিওর মাধ্যমে আরটিকাল রাইটিং এর মাধ্যমে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে। ডিজিটাল মার্কেটিং খুব সহজে শেখা যায় কারণ এতে কোন কোডের ব্যবহার হয় না। অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে বা অফলাইন কোর্সের মাধ্যমে খুব ভালো করেই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা যায়।

ধৈর্য ও নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। প্রথমে আপনাকে অল্প বাজেটের কাজগুলো করতে হবে করে রিভিউ বাড়িয়ে নিতে হবে তারপর একবারে যখন দক্ষ হয়ে যাবেন তখন আপনি নিজেই দাম নির্ধারণ করতে পারবেন। তাই নিয়মিত চেষ্টা করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ডিমান্ডেবল সেক্টর।

ইউটিউব এর মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা যায়ঃ

এমন অনেকে আছে যারা ইউটিউব এ ছোট বড় সকল ভিডিও আপলোড করে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। ভিডিও তৈরি করা এবং সেগুলি ইউটিউবে আপলোড করা আজকের দিনে ভালো পদ্ধতি হয়ে উঠেছে আপনি যদি একটু ভিডিও শুটিংয়ে আগ্রহ রাখেন তাহলে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

অনেকে ইউটিউবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইনকাম করে ইউটিউব চ্যানেলে আপনার ভিডিও শুরু করার আগে পরে বা মাঝে যে কোন জায়গায় বিজ্ঞাপন গুলির মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন। অথবা আপনি আপনার চ্যানেলে আপনার বিভিন্ন প্রোডাক্ট কেনা বেচার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারে। আরও বিভিন্নভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়।

ইউটিউব যেমন আমাদেরকে নিয়মিত বিনোদন দিয়ে আসছে তেমনি কিছু মানুষের জীবিকার মাধ্যম এর অবদান রয়েছে। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার কাছে এমন কিছু কনটেন্ড আছে যেগুলো শেয়ার করলে মানুষের ভালো সাড়া পাবেন চাইলে আপনিও ইউটিউব শুরু করতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করাঃ

অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে কি ইনকাম করা যায়? এর মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা যায়।  চলুন দেখি কি কি ভাবে ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা যায়।

ফেসবুক ব্যবহার করে নিজের পণ্য বা কোম্পানির প্রচার করে  কাস্টমারের কাছে পৌঁছানো যায় এবং এর ফলে বিক্রয় বাড়ানো যায়। যদি আপনি বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে কোচিং বা কোর্স বিক্রি বা বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করে আয় করতে পারেন। এমন অনেকে আছেন যারা হস্তশিল্প এর কাজ জানেন তারা ফেসবুকের মাধ্যমে খুব সহজেই এ কাজটি করে আয় করতে পারেন। আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ফ্যান সাবস্ক্রিপশন এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

আপনি যদি ছোট ব্যবসার জন্য কাজ করেন তাহলে প্রতি মাসে ৫ থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি আপনি ভালোভাবে কাজ শিখে ফেলেন তাহলে প্রফেশনাল লেভেল এর মার্কেটার হতে পারবেন তাহলে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করাঃ

আর্টিকেল রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং জগতে বহুল জনপ্রিয় একটি সেক্টর। আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করা যায় আর্টিকেল রাইটিং করতে হলে  তেমন ইনভেস্ট করার দরকার পরে না।

আর্টিকেল রাইটিং এ কাজ করতে হলে ধৈর্য ধরে লিখতে হবে জানতে হবে আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে তাহলেই ভালো অংকের টাকা ইনকাম করা যায়। এমন অনেক মানুষ আছে যারা শুধুমাত্র আর্টিকেল রাইটিং লিখে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে।

আর্টিকেল রাইটিং লিখার ও কিছু শর্ত আছে। সেগুলো আগে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তারপরে ধৈর্য ধারে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল রাইটিং এর সকল শর্ত মেনে সুন্দরভাবে কনটেন্ট লিখতে হবে। ছোটখাটো এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করে মাসে ৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। 

আরও পড়ুনঃ আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য

এসইও করে ইনকাম করাঃ

ঘরে বসে এসইওর মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। এটি অনলাইন জগতে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এসইও মানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। চলুন দেখি এসইও দিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়।

 আমরা যখন গুগলে কিছু সার্চ করি তখন প্রথমে যে ওয়েবসাইটটা ভেসে আসে সেগুলোকে এসইও করে প্রথম পেজে আনা হয় যারা অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে তারা সবাই চায় যে তাদের ওয়েবসাইট যেন প্রথমে র‍্যাঙ্ক করে এর জন্য একটা ভালো এসইও এক্সপার্ট দরকার। যাতে ঘরে বসেই ক্লাইন্ট দের ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারি এমনভাবে একজন এসইও এক্সপার্ট হতে হবে।

এসইও শেখার জন্য বিভিন্ন অনলাইনের কোর্সে ভর্তি হতে পারেন বা অফলাইন ফোর্সে ভর্তি হতে পারেন পাশাপাশি নিজের একটা ব্লক বা ওয়েবসাইট বানিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারেন তাহলেই ধীরে ধীরে আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করাঃ

গুগল এডসেন্স এটি একটি ইন্টারনেটের জনপ্রিয় মাধ্যম। গুগল এডসেন্স থেকে আমরা অনেক টাকা ইনকাম করে থাকি। অনেকেই হয়তো জানে না গুগল এডসেন্স কি? চলুন জেনে নিই গুগল এডসেন্স কি?

গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করা

গুগল এডসেন্স হলো একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যম। মানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যে বিজ্ঞাপন গুলো দেখানো হয় সেটাই গুগল এডসেন্স থেকে আসে। অর্থাৎ আমরা ইউটিউব অথবা কোন ওয়েবসাইটে গেলে যে সকল বিজ্ঞাপন দেখতে পায় তাই গুগল এডসেন্সে মাধ্যমে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যখন বিজ্ঞাপন প্রচার করে আর এটির জন্য যার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে তাকে গুগল টাকা প্রদান করে।

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে যেগুলো মেনে আপনি খুব সহজেই গুগল এডসেন্স থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করাঃ

ঘরে বসে ইনকাম করার সেক্টর গুলোর মধ্যে ইমেইল মার্কেটিংও অন্যতম একটি সেক্টর। এই সেক্টর থেকেও অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। চলুন দেখি কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়।

 আরও পড়ুনঃ ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে আরো কিছু তথ্য

ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি সেবা যেখানে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বা সেবা নিয়ে গ্রাহকদের সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করতে পারে। ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ইমেইলের মাধ্যমে কাজ নিয়ে টাকা ইনকাম করতে পরে।

এমন অনেকে আছে যারা ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে। এমন অনেকে আছে যারা তাদের ওয়েবসাইটের গিয়ে কন্টাক্ট পেজে ইমেইল পাঠিয়ে নিজে সেবা অফার করে থাকে।


ফাইবার এবং আপওয়ার্ক এর মাধ্যমে ইনকাম করাঃ

ফাইবার এবং আপওয়ার্ক এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। প্রথমে আমাদের জানতে হবে ফাইবার ও আপওয়ার্ক কী?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা পাচ্ছে। ফাইবার থেকে ঘরে বসেই অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। ফাইবার হচ্ছে এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে নির্দিষ্ট সার্ভিস দিয়ে থাকে সেগুলো হলো ওয়েব ডিজাইন, কনটেন্ট লেখা, লোগো ডিজাইন গিগ করে উপস্থাপন করে রাখে।আর এই গুলো দেখে ক্লাইন্টরা তাদের পছন্দের কাজগুলো কিনে নিতে পারে এভাবেই ফাইবার থেকে ইনকাম করা যায়।

আপওয়ার্ক হচ্ছে একটা জব মার্কেটপ্লেস যেখানে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা আবেদন করে কাজ পায়। এর মাধ্যমে তারা টাকা ইনকাম করে।

শেষ কথাঃ

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটিং বি জনপ্রিয় একটি মাধ্যম বিশেষ করে যারা ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য এটি একটি অন্যতম মাধ্যম। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং বেশি চাহিদা সম্পন্ন মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। কারণ ছোট বড় সব ধরনের ব্যবসাতেই ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। আর এগুলো কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে একজন ডিজিটাল মার্কেটার।

এখানে উল্লেখিত প্রত্যেকটি সেক্টরে আপনি কাজ করে সফল হতে পারেন যদি আপনি নিয়মিত প্র্যাকটিস আর ধৈর্য ধরে কাজ করেন তবেই। ধৈর্য ধরে যদি আপনি সঠিকভাবে শিখে কাজ করতে পারেন তবে আপনি একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url